September 10, 2025, 3:51 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসুর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা/ ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস ফরহাদ দেশে দাম ২৫০০, ভারতে যাচ্ছে ১৫০০ টাকা দরে ১২০০ টন ইলিশ রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল রেসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর কেরুর আধুনিকায়ন ১৩ বছরেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি একাদশে ভর্তি শুরু, জেলা পর্যায়ে নন-এপিওতে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা, ক্লাস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত, আসছে মিড-ডে মিল ইউক্রেন চুক্তি মানতে না পারলে সামরিকভাবে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন, চিকিৎসায় সহায়তায় প্রস্তুত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলো সুপ্রিম কোর্টে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টন

‘ওসমান গণী মরে নাই’

জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা থেকে/
চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত এক জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। একদিন পর ঘটনাটি জানাজানি হলে তথ্যসূচি সংশোধন করে স্বাস্থ্য বিভাগ। ঐ ঘটনায় শোকজ করা হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলীকে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের মৃত কলিম উদ্দীন সর্দারের ছেলে ওসমান গণী (৫৮) জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগে ভোগার এক পর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ১১ মে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১২ মে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে তার করোনা পজিটিভ আসে। তাকে নিজ বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়।
পরে শারিরীকি কারনে ১৩ মে ওসমানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের ৬০৭ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ওসমানকে করোনায় ১৩ মে মারা গেছেন উল্লেখ করে ১৮ মে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে প্রতিবেদন পাঠায়। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদন ধরে জাতিয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গায় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জন হিসেব করে নথিবদ্ধ করে।
অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ওসমানকে করোনায় মৃত দেখিয়ে সংবাদ প্রচার করে।
বিষয়টি ওসমানের পরিবারের নজরে আসে। ওসমান গণীর ছেলে সাব্বির হোসেন জানান, বাবার মৃত্যুর খবর শুনে তারা হতবাক হয়ে গেছেন।
তিনি জানান তিনিই হাসপাতালে তার বাবার দেখাশুনো করার দায়িত্বে রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের সঠিক তদারকি ও উদাসীনতার কারণেই এমনটি হয়েছে। তার বাবা এখন বেশ সুস্থ। দু’একদিনের ভিতর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেবে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল জানান, পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলী যাচাই-বাছাই না করে কোনো অনুমতি বা স্বাক্ষর না নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে ওই তথ্য পাঠিয়েছিলেন। বিষয়টি জানার পর অবশ্য রিপোর্টটি সংশোধন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, ওই ঘটনায় পরিসংখ্যানবিদ শাহাজাহান আলী দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net